বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় কোমেন দুর্বল হয়ে সন্দ্বীপের কাছ দিয়ে ধীরে ধীরে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে। আগামী তিন থেকে চার ঘন্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করবে।
ঘূর্ণিঝড়টি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে বৃষ্টি ঝরিয়ে ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে যেতে পারে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সঙ্কেত বহাল রয়েছে। মংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরেও বহাল রয়েছে ৫ নম্বর বিপদ সঙ্কেত।
এর আগে ঘুর্ণিঝড় কোমেন দুর্বল হয়ে চট্টগ্রাম উপকূল থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল।
রাত নয়টার দিকে উত্তর দিকে সরে গিয়ে কিছুটা দুর্বল হয়ে সন্দ্বীপের কাছ দিকে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করা শুরু করে।
ঘূর্ণিঝড়টি যত সরছে ততই ক্রমান্বয়ে দুর্বল হয়ে পড়ছে।
ইতিমধ্যেই ঘুর্ণিঝড়ের কবল থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় জেলাগুলোর নিম্নাঞ্চল থেকে প্রায় বিশ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা জানান, ঘুর্ণিঝড়টি যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়েছে। এটি এখন চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে। এর প্রভাবে পুরো উপকুল জুড়ে এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে।
সেন্টমার্টিন এবং পটুয়াখালী থেকে দুজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। দুজনেই গাড়ী চাপা পড়ে মারা গেছে বলে জানা গেছে।
উপকূলীয় এলাকার নিম্নাঞ্চল তিন থেকে চার ফুট কিংবা তারও বেশি জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলার এবং সমুদ্রগামী জাহাজসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
জলোচ্ছ্বাস ও পাহাড় ধসের আশঙ্কায় কক্সবাজার জেলার উপকূলীয় এলাকার লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
এছাড়া বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব প্রতিষ্ঠানকে আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।